কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫
পোস্ট সুচিপত্র: কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবদন
কানাডা যাওয়ার আগে দালাল থেকে সাবধান ও সমাধান
কানাডা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবসী হিসেবে কানাডা ওয়র্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রতিবছর প্রায় চার লক্ষ মানু আসার জন্য আবেদন করে থাকে। এদের মধ্যে আবার কেও চাকরি করার উদ্দেশ্যে, পড়াশোনার জন্য আবার কেও বিভন্ন ভাবে কানাডা যেতে চাই। তার পরে এই দেশে এসে পারমান্টে হয়ে থেকে যায়।
এজন্য কানাডা যেতে হলে আপনাকে যে দেশ থেকে যাবেন সে দেশের এজেন্ড কিংবা সরকারি এম্বাসিতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন । তাহলে আপনাকে প্রতারিত হতে হবে না। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া নিয়ম গুলো মেনে আপনাকে বিদেশ যেতে সুবিধা হবে।
ভিসা প্রসেসিং কানাডা ওয়ার্ক পারমিট
বিভিন্ন ভাবে যারা কানাডা যেতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে হয় যে, কানাডা আসার জন্য সরাসরি কোন সুযোগ নাই। অনেকের ধরনা যে, ওই দেশে যেতে পারলেই হই কিন্ত তা নয় যাওয়ার আগে আপনাকে কোন ভিসায় কানাডা যেতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে আপনাকে ঠিক করে তার পরে সে দেশের কোন এজেন্ড অথবা এম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করে আপনাকে যেতে হবে।
আর এ ধরনের ভিসা প্রসেসিং কোম্পানি যখন নিজের দেশের যোগ্য লোকোবল এর অভাব দেখা দেয় তখন তারা বিদেশ থেকে জনবল নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তখন সার্কুলার এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা পররাস্ট্র নিতির মাধ্যমে লোকোবল নিতে চায়। তারপরে বিভিন্ন দেশের লোক কানাডা যাওয়ার আগ্রহ দেখায় ।
বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তারা লোকবল নিয়ে থাকে, অনলাইন এর মাধ্যমে ইন্টারভিউ নেওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রাথমিক যোগ্যতা যাচাই করে ভিসা নিশ্চিত করে থাকে। কিছু চাকরির বিজ্ঞাপন এর ওয়েবসাইট www.indeed.com এছাড়াও আপনি যদি গুগলে Lima(Labor Market Impact Assessment) লিখে সার্চ করে এ ধরনের চাকরিগুলে খুজে পাবেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র লাগে
- সর্বপ্রথম আপনাকে একটি বৈধ পাসপোর্ট ।
- যাবতিয় শিক্ষার সনদ পত্র।
-
একটি সুন্দর সিভি।
- আপনার একটি কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
- ভিসার আবেদন ফরম।
- সঠিক জন্ম নিবন্ধণ থাকা লাগবে।
- সঠিক জাতীয় পরিচয় পত্র।
-
ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল এর কাগজ রিপোর্ট।
- করোনা টিকা সনদ।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- যেখান থেকে চাকরির অফার লেটার পেয়েছেন সেখানকার কাগজ।
- সরকারি লিমা কপি।
- সর্বোচ্চ বয়স সিমা ৪৫ এর নিচে থাকতে হবে।
- পার্সপোর্ট এর মেয়াদ অন্তত ৮ মাস মেয়াদের এর ওপরে থাকতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট।
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- বিদেশি মুদ্রা বা ট্রাভেলারস চেক সংগ্রহ করা।
- একটি আন্তর্জাতিক মানের ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড সাথে রাখা।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার নিয়ম
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার আগে জানতে হবে আপনা কি, কি যোগ্যতা
আছে কি,না সে দিকে লক্ষ রেখে তার পরে আপনি কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করবেন,
না হলে কোনভাবে আপনি কানাডা যেতে চাইলেও যেতে পারবেন ন। কার এর কিছু নিয়ম
মেনে কানাডা যেতে হলে আপনাকে যেসব কাজ ফলো করতে হবে। যথা-
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, আপনি ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করুন, এর সাথে এলএমআইএ অনুমোদোন নিয়ে আসতে হবে, তারপর আপনি কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ কিংবা সময় এর কিছু ব্যবধান হতে পারে।
আবেদন করার জন্য আপনাকে একজন দক্ষ কম্পিউটার অপারেট এর সাথে যোগাযোগ করুন, না হলে আবেদন ঠিকমত সাবমিত না হলে আবেদনটি গৃহীত নাও হতে পারে । আরও একটি বিষয় আপনার বিভিন্ন ডকুমেন্ট স্কান করে তার পরে কম্পিউটারে ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় কাগজ ঠিকভাবে আপলোড করুণ। এজন্য দরাকার একজন দক্ষ কারিগর দিয়ে এপ্লাই করে নেওয়া। তারপর আবেদন টি ঠিকমত দেখে শুনে কনফর্ম হয়ে নিশ্চিত করুণ।
কানাডা ওয়র্ক পারমিট বিভিন্ন ভিসার খরচ ২০২৫
কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার বর্তমান ২০২৫
এর চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বড়ে গেছে। ভিসা পাওয়ার জন্য ভিসা তৈরিতে
পূর্বের থেকে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে।
যার কারনে কিছটা বাড়তি খরচ বেড়ে যাওয়াতে ভোগান্তি হয়।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আরও কিছু ভিসা আছে যার খরচ পড়বে যেমন- কানাডা টুরিস্ট ভিসায় যেতে আপনার খরচ হবে ৪ লক্ষ টাকা, স্টুডেন্ট ভিসায় ৫ লক্ষ টাকা, কৃষি ভিসায় ৮ লক্ষ টাকা, তবে এর মূল্য ডলার উঠা নামার উপর নির্ভর করে হয়ে থাকে।
কানাডা ওয়র্ক পারমিট ভিসার বেতন কত
কানাডা উত্তর আমেরিকার একটি বড় রাষ্ট, কানাডা হলো বিশ্বের মধ্যে আয়তনে দ্বিতীয় । এটি আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শীতলতম দেশ, অন্যান্য দেশের চেয়ে প্রতেকটা রাস্টের চেয়ে অনেক শক্তিশালি একটি দেশ, অনেক উন্নত সমৃদ্ধির হাই ডেডিকেট বলা চলে।
কানাডার ওয়র্ক পারমিট ভিসায় যারা যাবেন তাদের জন্য একটি বিশাল সুখবর যে,
কানাডা একটি শ্রমিক বন্ধব দেশ। এই দেশের সর্বনিম্ন ক্লিনারের বেতন ৭০ হাজার
টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা। তবে বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন নির্ভর করে।
কনাডার বেতন সর্বচ্চ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার দিয়ে থাকে, তাই সবার আগ্রহ থাকে
কানাডা যাওয়ার জন্য ।
সমাপ্তি কথা
আমি এই আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে সবার সামনে কানাডা ওয়র্ক পারমিন ভিসার সম্পর্কে উন্নত বিশ্বের সুন্দর একটি দেশ ভ্রমনের বিভিন্ন দিক তুরে ধেরেছি। যারা কানাডা যেতে আগ্রহী বিষেশ আমাদের বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন দেশের ভাই দেরকে বলব বিভিন্ন প্রতারনার খপ্পরে না পড়ে সরকারিভাবে কিংবা আপন পরিচিত ব্যাক্তি মাধ্যমে কানাড যাওয়ার জন্য বলব, কারন অনেক ভাই সঠিক গাইড না যেনে বিদেশ যেতে চাই তাদের মত কপাল পোড়া যেন না হয়।
আমার এই পোস্টটি যারা পড়েছেন তাদেরকে আন্তরিক সালাম, যদি আমার এই পেস্টটি
ভলো লেগে থাকে তাহলে একটি মন্তব্য করে এই লিংটি সেয়ার করে সবাইবে পড়ার সুযোগ
করে দিবেন, সবাইকে ধন্যবাদ।
এ আই বিডি আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url