বিদেশ যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয় কাজ সমূহ
বিদেশ যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয় কাজ সমূহ। আপনি যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। তার জন্য আপনাকে যাত্রাপতে সঠিক পরিক্লপনা প্রস্তুতি ছাড়া আপনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এর জটিলতা থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে যা, করতে হবে।
সঠিক ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। যাতে আপনার ভ্রেমন হয় সুন্দরসার্থক ও নিরাপদ যাতে কোন প্রকার বিড়ম্বনার স্বিকার না হই। নিচে এর বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
পেস্ট সুচিপত্র: বিদেশ যাওয়ার সেময় যাত্রাপতে করণীয় কাজ সমূহ
- যাত্রা পথে প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত রাখা
- প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত করা
- বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয়
- বিদেশে যাওয়ার সময় গন্তব্যে পৌঁছানোর পর করণীয়
- বিদেশে যাওয়ার সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা
- ভ্রমণ সম্পর্কিত প্রযুক্তি ব্যবহার
- যাওয়ার আগে ভাষাগত প্রস্তুতি
- বিনোদন এবং মানসিক প্রস্তুতি
- স্থানীয় আইন এবং রীতিনীতি সম্পর্কে জ্ঞান
- জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা
- সমাপ্তি কথা
যাত্রা পথে প্রয়োজেনীয় নথিপত্র প্রস্তুত রাখা
সঠিক ভাবে বিদেশ যেতে হলে সঠিক প্রস্তুতি গ্রহন করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য ভ্রমনকে করে তুলে সুন্দর ও মস্রিনতা নিশ্চিত করবে। বিদেশ যেতে চইলেই হবে না এজন্য আপনাকে সকল ধননের নথিপত্র ও ডকুমেন্টস সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নেওয়া। অনেক ব্যাক্তি আছে যারা বেদেশ যাওয়ার সময় অনেক সময়ে সঠিক নথিপত্র না থাকার কারনে বিভিন্ন সমস্যার সমুক্ষিণ হতে হয়।
বিদেশ ভ্রমন এর আগে পরে যাত্রাপতে অবশ্যই জানতে হবে যে, কি কি কাগজ পত্র লাগবে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা আপনার নিজস্ব ব্যাক্তিগত কাজ। সে জন্য আপনাকে সব ঠিকঠক মত গুছিয়ে নিয়ে তারপরে বিদেশ ভ্রমনের উদ্দেষ্যে যাত্রা করা একজন ব্যাক্তির সঠিক সিদ্ধান্ত । যেমন-
পাসপোর্ট ও ভিসা:
- এজন্য আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ যাচাই করে নেওয়া আপনা পাসপোর্ট সঠিক আছে কি না, কোন ধরনের নামের ভুল আছে কি না।
- যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের জন্য ভিসা আবেদন করুন এবং ভিসার সমস্ত কাজ ষেশ হওয়ার জন্য আপনার হাতে লম্বা সময় রাখুন।
- পাসপোর্টের মেয়াদ না থাকলে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এর মেয়াদ নবায়ন করুন।
টিকিট বুকিং:
- বিমানের টিকিট যথাসময়ে বুকিং করুন এজন্য অগ্রিম টিকিট বুকিং নিচ্চিৎ করুন।
- আপনার টিকিটের নাম তারিখ সময় দেখে যাচাই করুন।
- টিকিটের মূল কপি এবং ফনোকপি নিজের কাছে রাখুন।
- ভাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারল্যাইন্স এর মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করুন।
-
সকল ইন্টারন্যাশনাল টিকিট কাউন্টার বিমান পর্যাবেক্ষন করে টিকিট ক্রয় করুন।
যাত্রার পরিক্লপনা:
- যাবার আগে সব কিছু পরিকল্পনা মোতাবেক হচ্ছে কি না সে দিকে খেয়াল রাখুন।
-
যাত্রার জন্য মনোস্থির মন মানসিকতা সঠিকভাবে নির্ধারন করা।
- আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের আবহাওয়া স্থানীয় সময় ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে নিন।
- আপনি কখন কোন সময় যাবেন সেজন্য দিনক্ষন ও সকল কার্যক্রম তালিকা তৈরি করুন।
- যে দেশে যাবেন সে দেশের আইন কানুন সম্পর্কে জানুন।
ব্যাংক ডকুমেন্টস
- আপনার বিদেশ ভ্রমন এর জন্য সর্বপ্রথম একটি ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন।
-
বিদেশ যাওয়ার আগে আপনার একটি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এবং কিছু নগদ অর্থ
সাথে রাখা।
ট্রাভেল ইন্সুরেন্স
আপনার যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য জরুরি ভাবে এটি কাজে আসতে পারে
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নথি
আপনাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোভিড ১৯ টিকা সনদ ও প্রয়োজনীয় মিডিকেল রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশন সহ মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত করা
যাত্রার সহজ ও আরামদায়ক করে তোলার জন্য ব্যগপ্যাকিং একটি গুরুত্বপুর্ন কাজ। আপনি যদি বিদেশ যাওয়ার জন্য মনোস্থির করেন তাহলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত করে বিদেশ যেতে হবে: যেমন- পোশাক, ফাস্ট এইড ওষুধ, মোবাইল, সিম কার্ড, চার্জার, সাথে রাখুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা একটি যাত্রির সঠিক ওজন মেনে ব্যগ পত্র গোছানো যাতে কোন অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনাকে কোন প্রকার জরিমানা গনতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলো ব্যাতিত অপ্রয়োজনীয় কিছু লাগেজে না রেখে মুল জিনিসপত্র রাখা।
বিমান বন্দরে ঢুকার আগে লক্ষ রাখতে যে, আপনার কোন ধরনের প্রয়োজণীয় কাগজ রেখে চলে এসেছেন কিনা সে দিকে লক্ষ রাখা। বিমানের টিকিট সঠিক কাগজপত্র এবং সব ঠিকঠাকমত আছে কিনা পূনরাই চেক করে বিমানে ওঠা আপনার সঠিক সিদ্ধানন্ত। যাতে কোন প্রকার তুর্টির সমুক্ষিন হতে না হয়। নিচে এর কিছু দিক তুলে ধরা হলো-
প্রয়োজনীয় নথিপত্র:
- সর্বপ্রথম আপনাকে একটি বৈধ পাসপোর্ট ।
- যাবতিয় শিক্ষার সনদ পত্র।
-
একটি সুন্দর সিভি।
- আপনার একটি কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
- ভিসার আবেদন ফরম।
- সঠিক জন্ম নিবন্ধণ থাকা লাগবে।
- সঠিক জাতীয় পরিচয় পত্র।
-
ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল এর কাগজ রিপোর্ট।
- করোনা টিকা সনদ।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- যেখান থেকে চাকরির অফার লেটার পেয়েছেন সেখানকার কাগজ।
- সরকারি লিমা কপি।
- সর্বোচ্চ বয়স সিমা ৪৫ এর নিচে থাকতে হবে।
- পার্সপোর্ট এর মেয়াদ অন্তত ৮ মাস মেয়াদের এর ওপরে থাকতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সার্টিফিকেট।
- ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- বিদেশি মুদ্রা বা ট্রাভেলারস চেক সংগ্রহ করা।
- একটি আন্তর্জাতিক মানের ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড সাথে রাখা।
বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করণীয়
আপনি সঠিকভাবে বিদেশ ভ্রমন করতে চান তাহলে যাত্রাপথে কিছু করণীয় সমূহ মেনে আপনাকে বিদেশ যেতে পারবেন তানাহলে যাত্রাপথে অনেক বাধার সমুক্ষীন হতে হবে। এজন্য সঠিক গাইড মেনে বিদেশ যেতে হবে। যেমন-
বিমানবন্দরে চেক-ইন
- নির্ধরিত সময় এর পূর্বে অর্থাৎ কমপক্ষে তিন ঘন্ঠা আগেই বিমান বন্দরে উপস্থিথ থাকতে হবে।
- আপনার লাগেজ চেক-ইন করুন এবং বোডিং পাস সংগ্রহ করুন।
- আপনার ব্যাগ এবং যাবতীয় নথিপত্র সবসময় নিজ দায়িত্বে রাখুন।
নিরাপত্তা পরিদর্শন
- সকলের নিরাপত্তা পরিদর্শনের জন্য নির্ধারিত সময় নিয়ম মেনে চলা।
- নিরাপত্তা সার্থের জন্য কোন প্রকার ধাতব পদার্থ যেমন- সোনা, ল্যাপটপ, মোবাইল, তরল পদার্থ গোল্ড, আগ্নেয় অস্ত্র সহ আলাদাভাবে স্কানের জন্য রাখুন।
- অপরিচিত জনের দেওয়া খাবার বা জিনিস পত্র নেওয়া থেকে বিরত থাবুন।
-
নিজেকে কোন প্রকার অনেতিক কাজে জড়ানো থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
আরও পড়ুন: কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
বিমানে আরামদায়ক যাত্রা
- বিমানে ওঠার পরে সর্ব প্রথমে আপনার সিট বেল্ট বেধে নেওয়া এবং ক্র্রুু সদস্যদের নির্দেশনা মেনে চলা।
- সুদির্ঘ এই যাত্রাপথে আপনি পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান এবং মাঝে মধ্যে হাঁটা চলা করা।
- সবার সাথে পরিচিত হয়ে নেওয়া একটি সুন্দর কাজ যা, আপনার যাত্রাকে করে তোলে আরাম দায়ক।
বিদেশ যাওয়ার সময় গন্তব্যে পৌছানোর পর করণীয়
বিদেশ যাওয়ার সময় গন্তব্যে পৌছানোর সাথে সাথে আপনার করনীয় কাজ হলো আপনি যে লাগেজ ও অনান্য জিনিসপত্র সঠিকভাবে সংগ্রহ করে নেওয়া আপনার দায়িত্ব। এর নিচে আলোচনা করা হলো-
ইমিগ্রেশন
- ইমিগ্রেশন কাউন্টরে পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রদান করা।
- স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের উত্তর দিন।
লাগেজ সংগ্রহ
- লাগেজ সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত পয়েন্টে গিয়ে লাগেজ সংগ্রহ করা।
- লাগেজের ট্যাগ দেখে সঠিক ব্যাগটি সংগ্রহ করা।
- অণ্যের লাগেজ নেওয়া কিংবা ভুলবসত নিজের কাছে না রাখ।
- লাগেজ সঠিক আছে কি না সে দিকে লক্ষ রাখুন।
স্থানীয় পরিবহন
- গন্তব্যে যাওয়ার আগে থেকে সেখানকার পরিবহন ব্যবস্থার নিশ্চত করা।
- সেখানকার স্থানীয় ভাড়া নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকা।
বিদেশ যাওয়ার সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা
বিদেশ যাওয়ার সময় আপনাকে কিছু জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। যেমন-
স্বাস্থ সংক্রান্ত প্রস্তুতি
- জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা, এবং বিভিন্ন ধরনে সমস্যার জন্য প্রয়োজনীয় ওষধ সাথে রাখা।
- ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিজের কাছে রাখা।
- আপনি যেদেশে যাচ্ছেন সেদেশের প্রয়োজনীয় টিকার তালিকা দেখে আগে থেকেই সেগুলো গ্রহণ করা।
- যাত্রার আগে আগে আপনাকে ভ্রমন বীমা করে বিদেশ যাওয়।
- প্রাথমিক চিকিৎসার যন্ত্রপাতি সরঞ্জাম নিজের কাছে রাখা।
চুরি বা নথি হারিয়ে যাওয়া
- গন্তব্যে যাওয়ার পরে পাসপোর্ট বা অনান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি হরিয়ে গেলে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা।
- আপনার নিকতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা।
যাত্রাপথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- সব সময়ের জন্য আপনার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিজ দায়িত্বে রাখুন
- অপরিচিত ব্যাক্তিদের সঙ্গ থেকে সতর্ক থাকুন।
- স্থানীয় আইন ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান ও সুলভ আচরন দেখান।
- প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিজের অবস্থান এবং যাত্রাপথ সম্পর্কে পরিবারের কাছে জানিয়ে রাখা।
ভ্রমণ সম্প্রর্কিত প্রযুক্তি ব্যবহার
মানুষ আর আদিম সভ্যতার যুগে পড়ে নেই যতই দিন যাচ্ছে সব কিছুই উন্নত প্রযুক্তির ছোয়া গেগেছে। যাত্রাপতে এখন অনেক আধুনিক প্রযুাক্তি নির্ভর হয়ে উঠেছে তাই আর কোন ধরনের সমস্যার সমুক্ষিন হতে হই না। এজন্য আপনাকে যা করতে হবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে এর সুবিধা নিতে পারবেন যেমন-
মোবাইল এপ: আধুনিক বিশ্বে এখন আর কোন প্রকার লাইনে দাড়াতে হই না। ফ্লাইট, হোটেল, বুকিং দেওয়া , মানচিত্রের জন্য গুগল ম্যাপস, বুকিং ডট কম, স্কইস্ক্যানার ইত্যাদি অ্যাপস ব্যবহার করে এখন সব কিছুই হাতের মুঠই আনা সম্ভব হয়েছে।
অনলাইন চেক-ইন: কোন ফ্লাইট কখন আসবে আবার কোন ফ্লাইট যাবে সব তথ্য আনলাইন এর মাধ্যমে চেক ইন করা সম্ভব হচ্ছে যার কারনে এখন আর সেখানে গিয়ে জানতে হচ্ছে না।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস: সব ধরনের মোবাইল, পাওয়ার ব্যংক, এবং ল্যাপটপ চর্জ করা হই এখন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর মাধ্যমে যার ফলে কোন প্রকর ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় না।
যাওয়ার আগে ভাষাগত প্রস্তুতি
আপনি যদি বিদেশ যাতায়াতের সময় আপনার ভাষাগত কোন সমস্যার সমুক্ষিন হতে না হই সেজন্য আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের ভাষা শিক্ষা অর্জন করে বিদেশ ভ্রমন করলে কোন প্রকার ভাষাগত সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। এজন্য আপনাকে সঠিকভাবে ভাষা শিক্ষা অর্জন করা একটি প্রধান কাজ।
তানাহলে আপনাকে সে দেশে গিয়ে ভাষা শিখতে হবে এজন্য অনেক সময় লেগে যাবে, যারফলে আপনি ভালোভাবে বেতন পাবেন না। যে মোতাবেক ইনকাম করার কথা সে অনুযায়ি হবে না। এজন্য দরকার ভালোভাবে ভাষা শিখে বিদেশ যাওয়া সবার জন্য ভালো হবে।
আর যদি কোন প্রকার ভাষা শিখতে না পারেন তাহলে আপনাকে সেখানকার স্থানীয় কিছু
সাধারণ শব্দ ও বাক্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে। যদি সেটাও সম্ভব না হই
তাহলে আপনার মোবাইলে একটি অনুবাদক অ্যপস গুগল থেকে ডাউনলোড অথবা গুগল ট্রান্সলট
করে এর সুষ্ঠ সমাধন বের করা।
বিনোদন এবং মানসিক প্রস্তুতি
সুদীর্ঘ এই যাত্রাপথে আপনার মানসিক ও শারিরীক সুসাস্থের জন্য একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বিনোদন দেওয়া যার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে যেমন- বই, ম্যাগাজিন, কু্রআন, হাদিস, সাহিত্য, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, সহ বিভিন্ন ধরনের বই সঙ্গে রাখা।
বিভিন্ন ধরনের মুভি,মিউজিক, অডিও কোরান, সাথে এয়ারফোন এর মাধ্যমে বিনোদন উপভোগ
করা। এর সাথে আপনাকে রিলাক্সেশন টেকনিক অবলম্বন করে ধ্যান বা শ্বস-প্রশ্বাসের
ব্যায়াম করা হাঁটা চলা করা ইত্যাদি।
স্থানীয় আইন এবং রীতিনীতি সম্পর্কে জ্ঞান
বিদেশে ভ্রনের আগে সে দেশের স্থানীয় আইন এবং রীতিনীতি কালচার সম্পর্কে সব কিছু অবগত থাকা। আপনি যদি সে দেশের আইন কানুন মেনে না চলেন তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ভাবে সমস্যার পড়তে হবে। সেজন্য আপনাকে সে দেশের আই মেনে বিধেশ ভ্রমন করা।
আপনাকে অন্তত প্রয়োজনীয় আইন মেনে স্থানীয় ড্রেস কোড, পাবলিক বিহেভিয়ার আচরন করা। সে দেশের সংস্কৃতিকে সম্মান করা, স্থানীয়দের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করা। আপনি যদি তাদের সাথে সঠিকভাবে তাদের সে দেশের সকল রীতিনীতি আইন আদালদ সহ সকল সংস্কৃতির আলোকে চলা।
জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা
আপনার ভ্রমণ চলাকালে জরুরি যোগাযোগের স্থাপনের জন্য প্রস্তুত থাক। কারন আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সে দেশের কিছু জরুরি নম্বর নোট করা আপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সে দেশের গন্তব্য পৌছানোর পর পুুুলিশ, হাসপাতাল, এবং দূতাবাসের নম্বর নোট করে নেওয়া।
আপনি বিদেশ ভ্রমণ কারার আগে আপনার সিম কর্ডটি রোমিং প্যাকেজ করে নিন। এজন্য আপনাকে সিম কম্পানির সাথে ইন্টারনেট কানেকাশন এর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের সিম কার্ড হোক না কেন সব ধরনের সিম ই-রোমিং করে বিদেশ যেতে পারবেন। যার ফলে কোন প্রকার বাড়তি খরচ পোহাতে হবে না।
সমাপ্তি কথা
যাত্রাপথে সঠিক গাইড ও প্রস্তুতি মেনে বিদেশ ভ্রমণ করলে বিদেশ ভ্রমণ হতে পারে একটি আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক। এজন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলোর প্রতি মনোযোগ দিলে আপনার যেকোনো প্রতিকূলতা সহজে মোকাবিলা করতে পাবেন। আপনার ভ্রমণ হবে সফল ও স্বার্থক স্মরণীয়।
আমার এই পোস্টটি যারা পড়েছেন তাদেরকে আন্তরিক সালাম, যদি আমার এই পেস্টটি ভলো লেগে থাকে তাহলে একটি মন্তব্য করে এই লিংটি সেয়ার করে সবাইবে পড়ার সুযোগ করে দিবেন, সবাইকে ধন্যবাদ।
এ আই বিডি আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়
comment url