বাদাম খাওয়ার সেরা ১০ টি উপকারিতা

বাদাম আমাদের খাদ‌্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আমাদের শরিরের পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থের জন‌্য অত‌্যন্ত উপকারী একটি খাবার। তাই আপনি যদি বাদাম খওয়ার উপকারিতা সর্ম্পকে জানতে চান তাহেলে আপনি সঠিক জাইগাই এসেছেন।
বাদাম-খাওয়ার-সেরা-১০-টি উপকারিতা
বাদাম ‍ সুস্থ থাকার জন‌্য  মানক শরিরে একটি মুল চাবিকাঠী হিসেবে কাজ করে থাকে। যদি একটি মানুষ নিয়ম করে ‌প্রতিদীন বাদাম খওয়া শুরু করে তাহলে তার ভিতরে শারিরীক অনেক পরিবর্তণ লক্ষ করা যাবে। বাদাম এমন একটি প্রাকৃতিক খাবার এটি উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, স্বাস্থকর ফ‌্যাট, ভিটামিন, খনিঝ এবং অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এর সাথে সুস্বাস্থ বজায় রাখা প্রত‌্যেক মানুষের বজায় রাখা সম্ভব।
 
পোস্ট সুচিপত্র: বাদাম খাওয়ার সেরা ১০ টি উপকারিতা
    •  বাদামের পুষ্টিগুন ও প্রাকৃতিক পুষ্টির আধার
    •  হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় বাদামের ভূমিকা
    • ওজন নিয়ন্ত্রণে খাওয়া বাদামের ভুমিকা
    • মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাদাম
    • ত্বক ও চুলের  সৌন্দর্যে বাদামের অবদান
    • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদামের গুরুত্ব
    • হাড় ও দাঁতের শক্তি বড়ায় বাদাম
    • ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বাদামের সাহায‌্য
    • হজমশক্তি বাড়ায় বাদামের ফাইভার
    • স্ট্রেস কমাতে বাদামের ম‌্যাগনেসিয়াম
    • সমাপ্তি কথা
    • বাদামের পুষ্টিগুণ ও প্রাকৃতিক পুষ্টির আধার

      বাদাম একটি প্রকৃতিকভাবে পুষ্টিগুণে ভরপুর একেটি খাবার যা মনের ভিতর চাঙ্গা করে তুলে। এতে আছে বহুগুনে প্রোটিন সমৃদ্ধ মহা মূল‌্যবান খাবার যা শরীরের জন‌্য অতান্ত উপকারী। বিভিন্ন ধরনের বাদাম পাওয়া যায় প্রাই সবধরনের বাদামেই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিচে এর কিছু তুলে ধরা হলো:

      বাদামের প্রধন পুষ্টিগুণ

      •  প্রোটিন: বাদামে আছে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা মাংষ পেশির গঠন ও মেরামতে সাহায‌্য করে। 

      • স্বাস্থকর ফ‌্যাট: বাদামে আছে মনো-অ‌্যানস‌্যাচুরেটেড ও পলি-অ‌্যানস‌্যাচুরেটেড ফ‌্যাট থাকে, যা মানব শরিরের হৃদযন্ত্রের জন‌্য আনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে।

      • ফাইবার: বাদামে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যার ফলে আমাদের পেটের হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে এবং দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে থাকে।

      •  ভিটামিন ও মিনারেল: বাদামে আছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন ই, ম‌্যাগনেশিয়াম, ক‌্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং জিংক থাকে, যা মানব দেহের বিভিন্ন কর্যকলাপের জন‌্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে থাকে।

      • অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বাদামে ফ্ল‌্যাভোনয়েড ও পলিফেনল জাতীয় উপাদান থাকে, যা দেহের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।

      বিভিন্ন বাদামের উপকারিতা

      • কাজু বাদাম: হৃদয়ন্ত্রের স্বাস্থ‌্য ভালো রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে।

      •  আখরোট: এটি সাধারনত মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে থাকে।

      • বাদাম (আমন্ড): এটি মূলত ত্বকের উজ্জলতা বাড়ায়া ও হাড় মজবুত ও শক্তিষালী করে থাকে।

      • পেস্তাবাদাম: পেস্তাবাদাম মানব রক্তের কোলেস্টেরল কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায‌্য করে।

      •  চিনাবাদাম: চিনা বাদাম দেহের শক্তি জোগায় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

       নিয়মিত বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

      1.  হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
      2. ওজন নিয়ন্ত্রেণে সহায়াতা করে
      3. মস্তিস্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
      4. হাড় ও দাঁত মজবুত করে
      5. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

       তবে, যদি অতিরিক্ত বাদাম খেলে ক‌্যালোরি ও ফ‌্যাটের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণ ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত পরিমান মাফিক বাদাম খাওয়া সবার জন‌্য ভালো।

      হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় বাদামের ভূমিকা

      বাদাম হৃদযন্ত্রের জন‌্য অত‌্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এত আছে ওমেগা-৩ ফ‌্যাটি অ‌্যাসিড, অ‌্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও স্বাস্থ‌্যকর ফ‌্যাট রয়েছে, যা রক্তনালী সুস্থ রাখতে সাহায‌্য করে। বাদামে উপস্থিত ভালো কোলেস্টেরর (এইচডিএল) ধমনীতে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমিয়ে হৃদরোগের ঝুুঁকি হ্রাস  করে। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নত হয়, যা হৃদযন্ত্রকে সচল ও সুস্থ রাখে।

      বাদামের মধ‌্যে বিশেষ করে আকরোট, আমন্ড এবং কাজুতে প্রচুর পরিমাণে ম‌্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায‌্য করে। ম‌্যাগনেশিয়াম রক্তনালীর প্রাচীরকে শিথিল করে উক্ত রাক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি বাদাম থাকা অ‌্যন্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ প্রতিরোধ করে, যা হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ।

      নিয়মিত বাদাম খাওয়ার মাধ‌্যমে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ‌্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। তবে অতিরিক্ত বাদাম খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে প্রচুর ক‌্যালরি থাকে, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে বাদম গ্রহণে মাধ‌্যমে হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘমেয়াদি হৃদরোগের ঝুুঁকি কমে যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ‌্য তালিকায় পরিমিত বাদাম খবার তালিকায়া যোগ করে সুস্থ হৃদযন্ত্রের জন‌্য একটি ভালো অভ‌্যাস গোড়ে তোলা।

      ওজন নিয়ন্ত্রণে খাওয়া বাদামের ভুমিকা

       বাদাম আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে অত‌্যন্ত উপকারী একটি খাদ‌্য। এতে রয়েছে প্রোটিন, স্বাস্থকর চর্বি এবং আঁশ, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে অত‌্যন্ত সহায়তা করে থাকে। যার ফলস্বরূপ ক্ষুধা কমে গিয়ে অতিরিক্ত ক‌্যালোরি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায়। মন হয় ফুরফুরে তরতাজা ১৮ বছরের যুককের ন‌্যায়।

      বাোমে থাকা মনোআনস‌্যাচুরেটেড এবং পলিআনস‌্যাচুরেটেড ফ‌্যাটি অ‌্যাসিড শরীরের বিপাকক্রিায়াকে সক্রিয় রাখে, যা ক‌্যালোরি দ্রুত পেড়াতে সহায়তা করে। এছাড়া, বাদামে ম‌্যাগনেসিয়াম ও অ‌্যান্টিঅক্সিডন্ট রয়েছে, যা ইসসুলিনের কার্যকরিতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি কমায়।

      যদিও বাদাম ক‌্যালোরি-সমৃদ্ধ একটি খাবার তবে পরিমাণ মতো খেলে এটি ওজন কমাতে সাহায‌্য করে বিশেষ করে, বাদাম খাওয়ার ফলে ক্ষুধা কম অনুভূত হয়, যা বারবার অস্বাস্থ কর খাবার খওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। তাই সঠিক পরিমাণে বাদাম গহণ করে স্বাস্থ‌্যকর ডায়েট মেনে চললে ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়ে থাকে।

      মস্তিস্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাদাম 

      বাদাম অ‌্যাসিড, অ‌্যান্টিFক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন-ই মস্তিস্কের কোষগুলোর গঠন ও কর্মক্ষমতা উন্নত করে। বিশেষ করে অখরোট, যা ওমেগা-৩ এর উৎকৃষ্ট উৎস, মস্তিস্কের নিউরনের মধ‌্যে সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। যার ফলে আমাদের মস্তিস্ক বা ব্রেণ অনেক তিক্ষ ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থকে।

      বাদামে থাকা অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লাভোনয়েড উপাদান মস্তিস্কের ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে, যা মানসিক অবক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এটি অলঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। পাশাপাশি, বাদামে ভিটামিন-বিকমপ্লেক্স ও ম‌্যাগনেসিয়াম মস্তিস্কের রক্তসঞ্চালন উন্নত করে এবং এটি মানসিক চাপ হ্রাস করে।

      নিয়মিত বাদাম খাওয়া মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা ও মনোযোাগ বৃদ্ধি করতে সাহায‌্য করে। এতে থাকা প্রোটিন ও স্বাস্থকর ফ‌্যাট মস্তিস্কের শক্তি বজায় রাখে এবং দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে। শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার মানষের জন‌্য বাদাম একটি দারুণ মস্তিস্ক-উপকিরী খাবার হতে পারে। 

      ত্বক ও চুলের  সৌন্দর্যে বাদামের অবদান

      বাদাম ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ভিটামিন-ই এবং অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের কোষগুলোর ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং ক্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ‌্যকর রাখে। বিশেষ করে আখরোট ও আমন্ড ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায‌্য করে, যা শুস্ক ও রুক্ষ ত্বকের সমস‌্যা দূর করতে কার্যকর।

      বাদামে থাকা ওমেগা-৩ ফ‌্যাটি অ‌্যাসিড এবং জিংক ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে, যা ব‌্রণ ও অন‌্যান‌্য ত্বকের সমস‌্যার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া বদামের পেস্ট বা তেল সরাসরি ত্বকে ব‌্যবহার করলে এটি ন‌্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে নরম ও কোমল করে তোলে।

      চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও বদাম অত‌্যন্ত উপকারী। এতে থাকা বায়োটিন, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ও প্রোটিন চুলের গঠন মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়। বাদামের তেল চুলেরগোড়ায় পুষ্টি জোগায়, খুশকি প্রতিরোধ করে এবং চুলকে নরম ও উজ্জল করে তোলে। নিয়মিত বাদম খেলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং তা শক্তিশালী ও মজবুত স্বাস্থ‌্যকর থাকে।

       ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদামের গুরুত্ব

      ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বাদাম অত‌্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে রয়েছে স্বাস্থ‌্যকর ফ‌্যাট, ফাইবার ও প্রোটিন, যা রক্তে গুলুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায‌্য করে। বাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকায় এটি ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় না, বরং ধীরে ধীরে গুলুকোজ শোষণে সহায়তা করে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন‌্য বিশেষভাবে উপকারী।

      বাদামে থাকা মনো আনসস‌্যাচুরেটড ও পলি অনস‌্যাচুরেটেড ফ‌্যাট হৃৎপিন্ডের স্বাস্থ‌্য ভালো রাখে,ত যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন‌্য অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিসের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, তবে বাদাম নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তচাপ স্বভাবিক থাকে। বিশেষ করে আখরোট ও আমন্ড শরীরের ইসসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায‌্য করে, যা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

      এচাড়া, বাদামে থাকা অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম‌্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে এবং অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়। যেহেতু ওজন নিয়ন্ত্রেণ ডয়াবেটিস ব‌্যবস্থপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ,  তাই বাদাম খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রেণে থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় ক‌্যালোরী গ্রহণের প্রবণতা কমে। ফলে, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন‌্য একটি স্বাস্থ‌্যকর ও কার্যকর খাদ‌্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

      হাড় ও দাঁতের শক্তি বড়ায় বাদাম

      বাদাম আমাদের দোহর জন‌্য একটি পুষ্টিকর খাবার, যা হাড় ও দাঁতের শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে ক‌্যালসিয়াম, ম‌্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান থাকে, যা হাড়ের ঘনত্ব ‍বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। বিশেষ করে যাঁরা ;হাড়ের সমস‌্যায় ভুগছেন বা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে চান, তাঁদের জন‌্য বাদাম নিয়মিত খাওয়া উপকার হিতে পারে।

      এছাড়া, বাদামে উপস্থিত ভিটামি ডি এবং স্বাস্থকর চর্বি দাঁতের মজবুত গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। দাঁতের এনামেল শক্তিশালী করতে বাদামের ক‌্যালসিয়াম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, বাদামের ফাইবার দাঁতের স্বাস্থ‌্য ভালো রাখতে সাহায‌্য করে কারণ এটি মুখের লালা উৎপাদন বাড়িয়ে ব‌্যকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।

      নিয়মিত বাদাম খাওয়ার মাধ‌্যমে হাড় ও দাঁতকে সুস্থ রাখা সম্ভব, তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখা জরুরি। ‍প্রতিদিন অল্প পরিমাণে বাদাম খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় এবং হাড় ও দাঁতের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব হয়। তাই সুস্থ ও মজবুত হাড় ও দাঁতের জন‌্য খাদ‌্যতালিকায় বাদাম যুক্ত করা ভালো অভ‌্যাস গড়ে তোলা সবার উচিৎ।

       ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বাদামের সাহায‌্য

      বাদাম ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন ই, জিংক ও অ‌্যইন্টঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায‌্য করে। বাদাম নিয়মিত খেলে শরীর ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক‌্যাল থেকে সুরক্ষা পায় এবং কোষের সস্থতা বজায় থাকে।

      অ‌্যালমন্ড ওয়ালটনাট ও কাজু বাদামের মতো বিভিন্ন বাদামে ওমেগা-৩ ফ‌্যাটি অ‌্যাসিড ও প্রোটিন থাকে, যা শ্বেত রক্তকাণিকার কার্য়কারিতা বাড়িয়ে দেয়। এতে শরীর সহজেই ব‌্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি, বাদমে তাকা ম‌্যাগনেসিয়াম শরীরের প্রদাহ কমিয়ে ইমিউন সিস্টেমকে আরও কার্যকর করে তোলে।

      প্রতিদিন ৪-৫টি বাদাম খাওয়া স্বাস্থের জন‌্য উপকারী হতে পারে, তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। বাদাম কাঁচা বা হালকা ভেজে কাওয়া ভালো, যাতে এর পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। স্বাস্থকর খাদ‌্যাভাসের অংশ হিসেবে বাদাম যাক্ত করলে শরীরের সার্বিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সুস্থ থাকা সহজ হয়।

       হজমশক্তি বাড়ায় বাদামের ফাইভার 

      বাদাম একাটি পুষ্টিকর খাবার, যা শরীরের জন‌্য নানা উপকার উপাদান সরবরাহ করে। এর মধ‌্যে অন‌্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফাইবার। বাদামে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমপ্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়াতা করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হজমের সমস‌্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন‌্য দূর করে দিতে পারে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ‌্য ভালো থাকে।

      ফাইবার আমাদের পরিপাকতন্ত্রে এক বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি অন্ত্রের মধ‌্যে পানি শোষণ করে এবং মলকে নরম করতে সাহায‌্য করে, ফলে মলত‌্যাগ সহজ হয়। এছাড়া, এটি উপকারী ব‌্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে, যা হজমশত্তি উন্নত করতে কার্যকর। বাদাম খাওয়ার ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।

      বাদামের ফাইবার হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপাকক্রিয়াও ত্বরান্বিত করে। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায‌্য করে এবং হজমজনিত সমস‌্যা কমায়। তাই প্রতিদিনের খাদ‌্যাতালিকায় কিছু পরিমাণ বাদাম রাখা স্বাস্থ‌্যের জন‌্য অত‌্যন্ত উপকার খাবার হিসেবে সবার কাছে উপস্থাপিত হতে পারে।

      স্ট্রেস কমাতে বাদামের ম‌্যাগনেসিয়াম

      খনিজ উপাদান,যা স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ম‌্যাগনেসিয়াম স্নায়ুতন্ত্রকে শিথিল করতে সাহায‌্য করে এবং কটিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষ করে, কাজের চাপ, অনিদ্রা বা উদ্বেগজনিত কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপ কমাতে এটি বিশেষভাবে সহায়ক।

      গবেষণায় দেখা গেছে,ম‌্যাগনেসিয়াম মস্তিস্কের নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, যা আমাদের মনকে প্রশান্ত রাখতে সাহায‌্য করে। এটি সেরোটানিন হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা মুড ভালো রাখতে এবং উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে। এজন‌্য বাদাম যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা আখরোট নিয়মিত খেলে মানসিক চাপ কমে এবং মস্তিস্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়।

      এছাড়া, ম‌্যাগনেসিয়াম পেশির টান ও শারীরি ক্লান্তি কমাতে সাহায‌্য করে, যা স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকতে সাহায়াতা করে্ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের মত ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই দৈনন্দিন খাদ‌্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা স্ট্রেস কমানোর একাটি সহজ এবং প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে।  

      সমাপ্তি কথা

      উপরিক্ত আলোচনা থেকে জানতে পারা গেলে যে, বাদাম খাওয়ার উপকারিতা অনেক এর বহু গুনাগুন রয়েছে।  বাদাম এমন একটি খাবার যেটি খেলে একজন মানুষ প্রতিদিন নিয়ম করে পরিমানমত খাই তাহলে তার ভিতরে বহুগুন পরিবর্তন দেখা দেয়, সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, ইস্টামিনা মাংশপেষি বেড়ে যায়, ওজন বেড়ে যায়, এ জন‌্য প্রতেক ব‌্যাক্তির জন‌্য বাদাম নিয়ম করে হলেও কয়েক পিচ বাদাম গ্রহন করা সাবার উচিৎ।

       

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এ আই বিডি আইটির নিতীমালা মেনে কমেন্ট করুন প্রতিটি কমেন্টের রিভিউ করা হয়

comment url